অলসতা আমাদেরকে শ্রমবিমুখ করে তুলছে!


অলসতা আমাদেরকে শ্রমবিমুখ করে তুলছে!


মানুষ হিসেবে আমরা স্বভাবতই বিনা পরিশ্রমে কিংবা অল্প শ্রমে বড় কিছু পাবার আশা করি, যেটি আমাদেরকে আরও বেশি শ্রমবিমুখ করে তুলছে। হয়ত আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত চাওয়া-পাওয়া এভাবেই পূরণ করতে পারছি, আবার কেউ হয়ত পারছিনা। যারা পারছি, সামর্থ্য কিংবা সাধ্য আছে বলেই পারছি। কিন্তু আমরা যারা অলসতায় জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি, আমরা কি একবারের জন্যেও ভাবছি যে, যদি পরিশ্রম না করি, নিজের কিংবা পরিবারের জন্যে কিছু না করি, তাহলে ভবিষ্যতে নিজের কাছেই জবাবদিহি করতে হবে? তাই, নিজের পাশাপাশি পরিবারের ভবিষ্যৎ সাফল্যমণ্ডিত করতে হলে সূচনাটা ক্ষুদ্র হলেও শুরু করাটা আবশ্যক বলে মনে করি। অন্ততপক্ষে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মত সামর্থ্য  রাখতে হবে। এই ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার করে বলি। আপনার নিকটতম কেউ যদি অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে মারা যায়, এবং আপনি যখন বুঝতে পারবেন যে, এর জন্যে আপনিই দায়ী, আপনি কিছুই করতে পারেননি, এর থেকে কষ্টের আর কিছুই থাকতে পারেনা। তাই যখনই সুযোগ পাবেন, তখনই অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নিতে হবে। পড়াশুনার অধ্যায়টা শেষ করে হয়ত আপনার পছন্দমতো চাকরি নাও পেতে পারেন, তবুও শুরু করাটাই বাঞ্ছনীয়। এটা চলমান রাখা অবস্থায় হয়ত আরও ভাল কিছু পাওয়ার সম্ভাব্যতা তৈরি হতে পারে! এটাকে আপনি আপনার জীবনের ভাগ্য পরিবর্তনের অন্যতম উপাদান বলতে পারেন।

সরকারি চাকরি ছাড়া প্রাইভেট চাকরি করবোনা, এমন মন মানসিকতা দূর করতে হবে। চাকরি এবং পেশার মধ্যে পার্থক্যটা খুঁজে বের করতে হবে। চাকরি ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পেশা হবে দীর্ঘস্থায়ী। আপনি অবশ্যই পেশাকে প্রাধান্য দিবেন, যেটি দীর্ঘস্থায়ী। তাই, দীর্ঘস্থায়ী কিছু অধিকারভুক্ত করতে হলে, ক্ষণস্থায়ীটাকে আঁকড়ে ধরতে হবে শুরুতে। কারণ, সময় যখন ফুরিয়ে যাবে, তখন শত চেষ্টা করেও সেই সময়টা ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। এই গানটা শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই ‘সময় গেলে সাধন হবেনা’। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পর যদি কিছু করার কথা ভাবেন, তাহলে অনেক বিলম্ব করে ফেলেছেন। তাই, সময় থাকতেই স্বপ্নের হরিণটা অর্জন করার পথটা সহজবোধ্য করতে হবে।

তাই, চলুন নিজের দক্ষতা শ্রম আর সৃজনশীলতাকে কাজে লাগায়, এবং ক্ষুদ্র কিছু দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করি।

কোন মন্তব্য নেই

Jason Morrow থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.