তারুণ্যের পরিকল্পনাই দেশকে গন্তব্যে নিতে সক্ষম!

- রেজাউল করিম অন্তর
লেখক এবং ব্লগার।




তারুণ্যের পরিকল্পনাই দেশকে গন্তব্যে নিতে সক্ষম!


দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৭ বছর। ৫- কিংবা ১০-১২ বছরও নাহ।গুনে গুনে ৪৭ বছর। এই ৪৭ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের সাথে ৪৭ বছর আগের জন্ম নেয়া সেই নতুন বাংলাদেশের পার্থক্য দেখলে যে কারো চক্ষুশূল হবে। তুলনামূলক ভাবে একবিংশ শতাব্দীতে এসে বাংলাদেশের উন্নতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই কয়েক বছরে দেশে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। একটি গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে জনগনের কাছে সবধরনের ক্ষমতা আছে। জনগনের রুচি এবং চাহিদার প্রতিফলন করার অধিকার যেমন আছে তেমন সরকারের সাথে একাগ্রভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে। দেশের প্রত্যেকটা মানু্ষের নিরাপত্তা যেমনি ভাবে সরকারের রক্ষা করার দায়িত্ব তেমনি সরকারকে নিরাপত্তার কাজে সাহায্য করা জনগনের দায়িত্ব। এখনকার বাংলাদেশে উন্নতির রেখাচিত্র উর্ধমূখী হলেও নিরাপত্তার রেখাচিত্র প্রবল ভাবে নিন্মমূখী। এর দায় সরকার এড়াতে পারেনা।

আমাদের চেহারার অমিলের সাথে সাথে চরিত্রেরও অমিল রয়েছে। নীতিগত ভাবে কেউই আমরা এক না। স্বাধীনতার কিছু পর থেকে সবার মদ্ধে কলেরার মত রাজনীতিক তকমা ঢুকা শুরু হয়েছিল। তা আজও বিদ্দমান। এক ঘড়ে এক ভাই এক রাজনৈতিক দলের তোহ আরেক ভাই আরেকটা রাজনৈতিক দলের মতাদর্শে পরিচালিত হচ্ছে। ঘরের মধ্যেই আমরা বিপরীত নীতি লালন করছি। এর কারনে দিন দিন রাজনৈতিক দাংগা বেড়ে চলেছে। এই রাজনৈতিক বৈপরীত্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন জনগন। আমরা দিকবিদিকশুন্য হয়ে পড়ছি। রাষ্ট্রীয় স্বার্থগুলাতে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা লাভবান হচ্ছে। বিরোধী দলের মতাদর্শীরা দৌড়ের উপর থাকতে হচ্ছে। চাকরিতেও সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এমনিতেই বাংলাদেশে চাকরির বাজারের মন্দা অবস্থা। এর মাঝে এই ব্যাপারগুলার কারনে তরুনদের মাঝে ব্যাপক হারে হতাশা কাজ করছে যার ফল খুব ভয়াবহ আকার ধারন করেছে।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ তরুন এখন শান্তি চায়। কাজ করার প্লট চায় যেখানে তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারবে। চিরাচরিত রাজনৈতিক তকমা থেকে তারা সরে আসতে চায়। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন তাদের চোখেমুখে জ্বলজ্বল করছে। এই তরুনরা বাংলাদেশ কে নতুন করে সাজাতে চায়। যত্ন করে বাংলাকে বুকে লালন করে বিশ্বের বুকে নিজেদের জাত চিনিয়ে দিতে তারা মরিয়া।

তাদের যথার্থ সুযোগ দেয়া হলে এই দেশকে তারা রাঙাতে পারবে। এই আত্ববিশ্বাস তাদের আছে। অতিরিক্ত জনগনের কারনে যেসকল সমস্যার সম্মুখীন সরকার হচ্ছে তার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তরুণদের থেকে পরিকল্পনা সরকার চাইলে নিতে পারে। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি,যানজট নিরসন,দুর্ঘটনা রোধ,নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন, তথ্য যোগাযোগ ব্যাবস্থার আধুনিকতা, পর্যটন শিল্পের বিকাশ সহ সামগ্রিক সকল ক্ষেত্রে এই তরুণরা সঠিক,কৌশুলি,সময়োপযোগী বাস্তব পরিকল্পনা দেয়ার ক্ষমতা রাখে। তরুণদের বিশ্বাস করতে হবে একই সাথে তাদের মনে বিশ্বাস যোগাতে হবে। আমি একজন তরুণ হিসেবে এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি তরুনদের দিয়েই দেশ তার গন্তব্যে যেতে সক্ষম হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Jason Morrow থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.